চট্টগ্রামে
আদালত এলাকায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণী জোটের মুখপাত্র চিন্ময় দাসের অনুসারীদের হাতে
আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার ঘটনার তদন্তে চট্টগ্রাম জেলা বারের তদন্ত কমিটির
সবাই পদত্যাগ করেছেন। গত বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) ও তার আগে কমিটির সদস্যরা পদত্যাগপত্র
জমা দেয়। তবে বিষয়টি জানাজানি হয় গতকাল (২১ ডিসেম্বর)।
পাঁচ
সদস্যের ওই কমিটির প্রধান
হচ্ছেন সাবেক পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবদুস সাত্তার। গত বুধবার তিনি
সমিতির সভাপতির কাছে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন। এর দুদিন আগে
কমিটির চার সদস্য পদত্যাগপত্র জমা দেন।
আইনজীবী
মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ‘আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ, ভাঙচুর ও আইনজীবী আলিফ
হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। ঘটনার সঙ্গে পুলিশ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে প্রশাসন ও আদালতের কর্মকর্তারাও
সম্পৃক্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় ছয়টি
মামলা হয়েছে। মামলাগুলো পুলিশের পাশাপাশি বিভিন্ন সংস্থা তদন্ত করছে। আইনজীবীরা যদি ঘটনাটির তদন্ত করে তাহলে নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
তিনি বলেন,
‘আমাদের পরামর্শ হচ্ছে, স্পর্শকাতর এ বিষয়টির সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে জেলা
ও দায়রা জজ পদমর্যাদার বিচারক দিয়ে বিচারিক তদন্ত হওয়া উচিত। এই কারণে কমিটির সদস্যরা
সবাই অব্যাহতি নিয়েছেন।’
উল্লেখ, গত
২৬ নভেম্বর চট্টগ্রামের আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র
চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর ঘটনা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম
আলিফকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পরে ঘটনার তদন্তে সমিতির পক্ষ থেকে একটি কমিটি
গঠন করা হয়।